৯ ডিসেম্বর গফরগাঁও মুক্তদিবসে গফরগাঁওয়ের প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের জন্য জীবন দেওয়া গফরগাঁও উপজেলার সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।
এর উত্তাল মার্চের অগ্নিঝরা ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহে উজ্জিবীত হয়ে গফরগাঁও থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ছাত্র জনতার সভায় ১৯৭১ সালে ২৩মার্চ গফরগাঁও রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বেলাল আহম্মেদ গফরগাঁওয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করলে বেলাল আহমদের নেতৃত্বে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ গফরগাঁও থানা দখল করে এবং থানার অস্ত্রাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয় । ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত গফরগাঁও হানাদার মুক্ত ছিল। ১৭ এপ্রিল থেকে হানাদার বাহিনী স্থল ও আকাশ পথে আক্রমন করে ১৯ এপ্রিল গফরগাঁও দখল করে নেয়। এরপর অসংখ্যবার গফরগাঁওয়ের মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ন হয় এবং অধিকাংশ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী বিজয় অর্জন করে। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে গফরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ যুদ্ধ হয় ৫ডিসেম্বর ।
মশাখালী ষ্টেশনের দক্ষিনে শীলা নদের নিয়ন্ত্রন নিয়ে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হলে পাকহানাদার বাহিনী পিছনে হটে গফরগাঁও সদরে আশ্রয় নেয় । মুক্তিবাহিনীর ইকবাল-ই-কামালের নেতৃত্বে কামাল কোম্পানীর এবং আফসার বাহিনীর ব্যোম সিরাজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর পিছু ধাওয়া করে গফরগাঁও সদরের পাক হানাদার বাহিনীকে ঘেরাও করে, ৮ ডিসেম্বর রাতেই পাক হানাদার বাহিনী গফরগাঁও ত্যাগ করে ।
৯ ডিসেম্বর ভোরের সোনালী সূর্য উদয়ের সাথে সাথে মুক্তির উল্লাসে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয় এবং হানাদার মুক্ত হয় গফরগাঁও।