ত্রিপুরার বরজালার রঞ্জিত রায়।বয়স ৪৪ বছর।তিনি কার্ডিওমায়োপ্যাথি সংক্রমণে
হৃদপিন্ডের পেশীর রোগ,হৃদপিণ্ডের চেম্বারগুলিকে বড় করে দেয় যার কারনে রক্ত পাম্প ব্যহত হয়
আক্রান্ত ছিলেন। যেকোন সময় হার্ট ফেইলিউরের সম্ভাবনার ঝুকি ছিল। কমে আসছিল জীবনের আয়ু। ত্রিপুরা থেকে কলকাতা মেডিকার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ কুনাল সরকারকে দেখান। তিনি দ্রুত হার্ট প্রতিস্থাপনের কথা বলেন। বিষয়টা সহজ নয়। হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন আর একটা হার্ট। তিন মাস আগের কথা।
ডাঃ কুনাল সরকারের কথা সেই মিরাকেলটা ঘটে রঞ্জিত রায়ের।
গত ২৮ ডিসেম্বর ২২ বর্ধমান থেকে বয়স ৫১র শ্রী হিরন্ময় ঘোষাল চিকিৎসার জন্য আসেন। ধরা পড়ে (ব্রেন ডের্থ) মস্তিষ্ক মৃত। মিঃ ঘোষালের পরিবার তার পাঁচ অঙ্গ দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মেডিকেয়ার থেকে রঞ্জিত রায়ের কথা ভাবা হয় হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্য।সেই মত তাকে দ্রুত আসতে বলা হয় কলকাতা মেডিকায়। খবর পাওয়া মাত্র গভীর রাতে ফ্লাইট ধরে ত্রিপুরা থেকে রঞ্জিত রায় ও পরিবার।
৩০শে ডিসেম্বর হিরন্ময় ঘোষালের মৃত্যুর পর তার হার্ট প্রতিস্থাপন হয় ত্রিপুরা নিবাসী রঞ্জিত রায়ের শরীরে। আবার বলি বিষয়টি সহজ ছিলনা।
নানা পরিক্ষা নিরিক্ষা পর মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে চ্যালেঞ্জিং কাজটা করেন ডাঃ কুনাল সরকার,ডাঃ সৌমজিত ঘোষ,সহ একটি বিশেষ টিম।
ডাঃ সৌমজিত ঘোষের বক্তব্য ” “কাজটা সহজ ছিলনা।হাতে মাত্র চার ঘন্টা। তবে এই সাফল্য সম্পুর্ন টিমের”।
এই বিশেষ অস্রোপ্রচার দলের অন্যতম ডাঃ দিপাঞ্জন চ্যাটার্জী বলেন এটি আমাদের চতুর্থ হার্ট প্রতিস্থাপন হলেও যতেষ্ঠ সচেতন ছিলাম। তবে ধন্যবাদ দিতে হবে ঘোষাল পরিবারকে।যাদের মানবিক দৃষ্টি প্রভাব ফেলবে সমাজে।
ডাঃ কুনাল সরকার বলেন মিঃ রায় খুব লাকি।তবে আমাদের ভাবার সময় হয়েছে।হার্ট প্রতিস্থাপনে বড় সমস্যা পরিকাঠামো। প্রতিস্থাপনের জন্য যে কোন অঙ্গ বা রোগী পরিবহন ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুত করার পরিকল্পনা করতে।
আজ আমাদের বার্ষিক গড় ১২ হলেও ৫০ এ পৌঁছাতে হবে। আজ এখানে দুটো সার্জারী হয়েছে বলে কিছুটা সময় আমরা পেয়েছি।
সহযোগী চিকিৎসকরা জানান নিয়মিত পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে রঞ্জিত রায়কে ।
ত্রিপুরাবাসী রঞ্জিত রায় আজ নতুন জীবন পেয়ে আবেগে হয়ে জান। দাতার পরিবার সহ মেডিকার সকলে ধন্যবাদ জানান।
আজ দুই রাজ্যে হৃদয় প্রতিস্থাপনে নতুন আলোর সূচনা করলো মেডিকা হাসপাতাল।