ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ বিডি ডেক্স: বর্ষা মৌসুমে নাটোরের সিংড়ার চলনবিলে ভ্রাম্যমাণ ও পানির ওপরে ভাসমান হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক পরিবার। এসব খামারে হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি অনেক বেকার যুবক এখন তাদের কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছেন। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবে আরও অনেকই। পাশাপাশি খামারি বিমা চালুর দাবি তাঁদের।
নিংগইন গ্রামের ভাসমান হাঁসের খামারি শাহাব উদ্দিন জানান, প্রায় দুই যুগ ধরে চলনবিলের পানিতে ড্রামের ওপর ভাসমান হাঁসের খামার করেছেন তিনি। আর এই খামারে তাঁর সংসারের সচ্ছলতা ফিরে আসার পাশাপাশি এলাকার কয়েকজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। গত বছর হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতে খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তাছাড়া হাঁসের রোগ বালাইয়ও হয়।
কয়াখাস গ্রামের আরেক খামারি লিটন হোসেন বলেন, বর্তমানে ডিমের দাম ভালো কিন্তু খাদ্যর দাম দ্বিগুণ হওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তা ছাড়া হাঁস মুরগি মারা গিয়ে অনেক খামারি নিঃস্ব হচ্ছে। এ কারণে সরকারের নিকট খামারি বিমা চালু করার অনুরোধ করেন।
এদিকে চলনবিল ডিমের আড়তের স্বত্বাধিকারী আব্দুল ওহাব জানান, সিংড়ার চলনবিল এলাকায় প্রায় ৪ থেকে ৫ শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। বর্তমানে ডিমের দাম বৃদ্ধিতে খামারিরা বেশ লাভবান হচ্ছে। তবে এসব খামারে সঠিক তদারকির ব্যবস্থা থাকলে খামারিরা আরও লাভবান হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, চলনবিল এলাকায় ভাসমান মোট ৩৮১টি খামার রয়েছে। আর এসব খামার তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রয়েছে। কোনো খামারির সমস্যা হলে তাঁরা যোগাযোগ করেন। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ বিডি ডেক্স