ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ বিডি ডেক্সঃ ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যুদ্ধে জড়াবে, এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর একজন চার তারকার জেনারেল। মাইক মিনিহান বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্বন্দ্বের মধ্যেই মাইক মিনিহান তার স্বাক্ষরিত এক অভ্যন্তরীণ চিঠিতে এই অভিমত তুলে ধরেছেন। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক লাখ ১০ হাজার সদস্যের এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের প্রধান মিনিহান আরও বলেন, আশা করছি বিষয়টি ভুল প্রমাণিত হোক। কিন্তু আমার প্রখর অনুভূতি বলছে, ২০২৫ সালেই লড়বো আমরা।
মিনিহান চিঠিতে আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান উভয়ই ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। তখন থেকেই প্রস্তুতি নেবে দেশ দুটি। তবে তার এ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পর্যালোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছিলেন, তাইওয়ান উপকূলের আশপাশে সম্প্রতি চীন সামরিক তৎপরতা জোরদার করলেও তা তাইওয়ানে বেইজিংয়ের আগ্রাসন আসন্ন এমন ইঙ্গিত দেয় কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে। তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না বাড়াতে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং। তাইপকে সামরিক সহায়তা দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করছে বাইডেন প্রশাসন। শি জিনপিং সরকার তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হিসেবে দাবি করে আসলে প্রত্যাখ্যান করছে তাইপে।
তবে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, এটা একান্তই একজন কমান্ডারের নিজস্ব মতামত। এটা কোন ভাবেই পেন্টাগনের প্রতিনিধিত্ব করে না।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এমাসের শুরুতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, তাইওয়ান প্রণালীর কাছে চীনের সামরিক তৎপরতা তাইওয়ানে চীনের আসন্ন আক্রমণের একটি চিহ্ন।
চীন সম্প্রতি তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের শাসন মেনে নিতে তাইওয়ানের উপর কুটনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে। তাইওয়ান সরকার বলছে, তারা শান্তি চায়। কিন্তু আক্রমণ হলে তারা অবশ্যই আত্মরক্ষা করবে।