ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ বিডি ডেক্সঃ মরদেহ কম্পোজ করে তৈরি হবে জৈব সার, এমন প্রক্রিয়া কার্যকর করার অনুমোদন দিলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এই প্রক্রিয়ায় মরদেহ মাটিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এটিকে পরিবেশবান্ধবও বলা হচ্ছে।‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে যদি একটি মরদেহ কন্টেইনারে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর পচে যায়। এভাবে তৈরি হবে জৈব সার।
ডেমোক্রেটিক গভর্নর ক্যাথি হোচুল গত শনিবার অনুমোদন দেওয়ার পর নিউইয়র্ক ষষ্ঠ অঙ্গরাজ্য হিসেবে এর অনুমোদন দিলো।
জানা গেছে, মাটিতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি হয় এই জৈব সার। প্রথমে জৈব সার তৈরিতে আবদ্ধ জায়গায় মরদেহ রাখা হয়। সেখানে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের লতাপাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপাদান রাখা হয়। ধীরে ধীরে এগুলোতে পচন ধরে। মাসখানেক এভাবে রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপও প্রয়োগ করা হয় এতে। স্বাভাবিকভাবেই মরদেহ জৈব সারে পরিণত হয়।এই সার মাটিতে মিশিয়ে ফুলগাছ, সবজি চাষে বা বৃক্ষায়নে ব্যবহার করা যায়, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
একটি মার্কিন রিকম্পোজ ফার্ম বলছে, তার পরিষেবা একটি শ্মশান বা ঐতিহ্যগত দাফনের তুলনায় এক টন কার্বন সংরক্ষণ করতে পারে।জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী হলো ব্যাপক হারে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ। কেননা এর তৈরি গ্রিন হাউস পৃথিবীতে তাপমাত্রা ধরে রাখে, ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এখনো। তবে নিউইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপ মনে করেন, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করা মোটেও উচিত নয়। জৈব সারে রূপান্তরিত করার খরচ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা আছে
(সূত্র: বিবিসি।)