ফরিদপুর ভাঙ্গা এক্সপ্রেস হাইওয়েতে বিভিন্ন স্থান থেকে বাইকাররা আসেন ঘোরাফেরা করতে, বিনোদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস হাইওয়ে, তাইতো বিভিন্ন স্থান থেকে সব বয়সের মানুষ এখানে এসে সময় কাটিয়ে যায়।
গতকাল ১১/০৫/২০২৩ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে ভাঙ্গা ফ্লাইওভারের মতো ব্যাস্ততম সড়কে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে চাদাবাজি করছিল, সেখানে তাদের সহায়তায় ছিলো স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী, তারা নাজিদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ আবার সাংবাদিক বলেও পরিচয় দিয়ে থাকে, মূলত আমরা যেটি পেয়েছি তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় ক্যাডার।
হাইওয়ে পুলিশ ভাঙ্গা ফ্লাইওভার ব্রীজের চলমান গাড়ি থামিয়ে চাদাবাজি করারা সময় একটি চলন্ত ট্রাককে তারা সিগনাল দেন, ট্রাকটি হটাৎ ব্রেক করলে তার পিছনে থাকা ২ টি মোটরসাইকেল মারাত্মক ভাবে ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে, ঐ ২ মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি ছিলো স্থানীয় অপরটি ফরিদপুর সদরের, তো স্থানীয় ছেলেটি তার বাইক কন্ট্রোল করতে না পেরে ট্রাকের সাথে বাড়ি খেয়ে মুখের বিভিন্ন স্থানে চোট লাগে, কারন তার হেলমেট ছিলোনা, আর বহিরাগত ছেলেটিও হাতে আঘাত পায়ে চলে যায়।
এখন হাইওয়ে পুলিশ এবং সেখানে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী এই বিষয়টি অন্যভাবে নিয়ে ঐ সড়কে চলাচলকারী অন্যা আরেকটা বাইকারকে আটকিয়ে এই দায় চাপিয়ে দেন, মূলত আমরা খোজখবর নিয়ে জানতে পাড়ি এখানে পুরো গাফেলতি হাইওয়ে পুলিশের, তারা কোনো চেকপোস্টে না দারিয়ে ব্যাস্ততম সড়কে চাদাবাজি করছিল, যার কারনেই এই সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে।
পরবর্তীতে হাইওয়ে পুলিশের এস আই মাহমুদ নামের একজন ঐ শিক্ষার্থীদের স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে তুলে দেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী প্রথমে তাদের মোবাইল নেন, তারপর ৩ জনের কাছে যতো টাকা ছিলো সেগুলো নিয়ে নেন, তারপর স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী এবং হাইওয়ে পুলিশ মিলে ঐ প্রবাসীর সন্তান ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে মডেল থানায় আটকিয়ে রাখে এবং তাদের মুক্তিপণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।
ঐ ৩ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক যখন বিষয়টি জানতে পারে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় তখন পুলিশ তার সুর পালটিয়ে বলে আমরা কিছু জানিনা স্থানীয়দের সাথে কথা বলুন, কিন্তু ওখানে যারা ছিলো তারা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলো, তারা এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক নিয়েই এগুলো করে বলে জানা যায়, কেননা ঐ মডেল থানার সিসি ক্যামেরা দেখলেই বুঝতে পারবেন পুলিশের সামনে সন্ত্রাসী বাহিনী কিভাবে প্রবাসীর সন্তানদের পেটাচ্ছে।
পরবর্তীতে পুলিশ এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী একত্রিত হয়ে ঐ ৩ জন প্রবাসীর সন্তানকে মুক্ত করতে বড়ো অঙ্কের টাকা দাবি করে, মোটামুটি ভাবে মোবাইল এবং নগদ অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রায় ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ঐ ৩ শিক্ষার্থীদের পরিবার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।