ফরিদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমীর হোসেন মাসুদ এর বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত ওয়ার্ডের সমোশপুর ও মুরারিদাহ মহল্লার শত শত মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলর মাসুদ অতপরতভাবে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স ও বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স এর সাথে জড়িত রয়েছে।
ওয়ার্ডের দুই শতাধিক নারী পুরুষ ঐ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে টাকা পাবে, সেই টাকা উত্তোলনের জন্য কাউন্সিলর মাসুদ এর শরণাপন্ন হয় ঐ অসহায় ব্যক্তিগণ।
ইন্সুরেন্স এর প্রাপ্ত টাকা তুলে দেওয়ার কথা বলে প্রায় দুই শতাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে মূল পাশ বইগুলো মাসুদ গ্রহণ করে।
দীর্ঘ ৩ ৪ বছর যাবৎ গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিবে বলে কাউন্সিলর মাসুদ সকলের টাকা আত্মসাৎ করেছে এমন অভিযোগ এলাকায় পাওয়া গেছে।
দিনের পর দিন অসহায় দিন মজুর
ও ভিক্ষুকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও তিনি তার কোনো কথাই রাখেনি।
উল্লেখিত বিষয়ে পাওনাদাররা গত ২৬/০৫/২০২৩ ইং তারিখে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ করেও তারা কোন সুফল পাননি
বরং উল্টো কাউন্সিলর মাসুদ ভুক্তভোগী পাওনাদার জাহানারা বেগম এর স্বামী তাজেল এর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
বর্তমানে ঐ মামলা চলমান রয়েছে এবং বীমার টাকা চাইতে গেলে তাদের বাড়ীতে হামলা করে।
এলাকার পাওনাদারদেরকে রহীঙ্গা আখ্যা দিয়ে এলাকা থেকে চলে যেতে বলে।
এছাড়াও ৭০ বছরের একাধিক বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নতুন জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন, বয়স্ক ভাতা ও ভিজিএফ এর কার্ড কাউন্সিলর মাসুদ এর কাছে চাইতে গেলে সে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং এই টাকা পৌর সভায় দিতে হবে বলে জানান।
অসহায় ভিক্ষুকদের আর্তনাদ এ ধরনের নিকৃষ্ট অমানবিক মনুষ্যত্বহীন কাউন্সিলর আমরা চাই না।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি কাউন্সিলর হওয়ার পর দুইটা বাড়ী , একটা স্কুল ও একাধিক জমির মালিক এই দু বছরে কি করে হল?
সকলেরই দাবি তার হটাৎ সম্পদের মালিকানা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী পৌর মেয়র, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মাসুদের মোবাইলে বার বার ফোন করলে তিনি ফোনটি ধরেন নি।