প্রধান শিক্ষককে অফিসে ডেকে নিয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ করলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ রহিম।
আঃ রহিম সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগে জানান ওই দিন বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে ডেকে এ ঘটনা ঘটানো হয়।
অভিযোগ কারী শিক্ষক মো: আব্দুর রহিম অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের অভয়নগর অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামে অটিজম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছি। বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেশ কিছুদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। আমি নিয়োগ দিতে রাজী না হওয়ায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের কাগজপত্র জমা দিতে বলেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সভায় বিদ্যালয়ের অনুকুলে প্রধান শিক্ষকের দেয়া ১৫ শতক জমি তাকে ফেরৎ দিলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এর ৩ দিনপর নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে বিদ্যালয়ের সকল কাগজপত্র তার কার্যালয়ে জমা দিতে বলেন। তিনি জমা না দেয়ায় অফিস সহকারির মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে তাকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের কাগজপত্র এনেছেন কিনা জানতে চান। কাগজপত্র না আনায় তিনি ওই শিক্ষককে বলেন,‘ আপনি বাবা-মায়ের জারজ সন্তান।’ এরপর ওই শিক্ষক কথা বলতে গেলে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকি নির্বাহী কর্মকর্তা কয়েকবার ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার থেকে উঠে প্রধান শিক্ষককে মারতে যান। এসময় তিনি প্রধান শিক্ষককে জালিয়াতির মামলায় ফাসিয়ে দেয়ারও হুমকি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “গালিগালাজের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন ওই শিক্ষক মিথ্যাবাদি। বিদ্যালয়ের কাগজপত্র তার বাড়িতে রেখেছে। আমি তাকে কাগজপত্র অফিসে আনার জন্য বলেছি।”