বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ফরহাদ খন্দকারের নিরব স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের ছড়াছড়ি, তিতাসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও দালালচক্র জড়িত ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলাধীন রামনগর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বাফুফে রেফারিজ কমিটির বরাবর লিখিত অভিযোগ Ckk দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবন্ধ হয়ে আবারও নৌকায় ভোট দিন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত প্রকাশিত হয়ছে যোবায়ের মুহাম্মদের নতুন বই “যমুনা পাড়ের লোককথা” ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা থেকে ৪০১ বোতল ফেনসিডিলসহ ০২ জন আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব-৮

পেকুয়ায় নুর হাসপাতালে এক চেম্বারে তিন ভুয়া দন্ত চিকিৎসক

মোহাম্মদ রাকিব
  • আপডেট : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮৫ দেখেছেন

কক্সবাজার জেলায় পেকুয়া উপজেলায় নুর হাসপাতাল একটি নামকরা হাসপাতাল।

নুর হাসপাতালে মালিক ডাক্তার মুজিবুর রহমান পেকুয়া উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার। নুর হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় নুর ডেন্টাল কেয়ার নামে একটি ভুয়া দাঁতের চেম্বার রয়েছে। এ চেম্বারের মালিক শফিকুল ইসলাম।


শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে পেকুয়া উপজেলায় শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাশ করে। ।এ চেম্বারে কোন পাশ করা বিডিএস ডাক্তার নেন।শফিকুল ইসলাম একজন টেকনোলজিস। সেই তার প্রচারণায় নামের আগে ডেন্টিস্ট এবং নামের পরে বিএসসি ডেন্টাল (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়),এমপিএইচ(প্রিভেন্টভ ডেন্টিষ্ট্রী)
ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজি (ঢাকা),
এফটি (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) সহ হরক রকম ডিক্রি উল্লেখ করেন।

যার ফলে মানুষ পাশ করা ডাক্তার মনে করে। এসব ডিগ্রি গুলো দাঁতের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত কোন ডিক্রি নয়।তার কাছে বিএমডিসি কোন নিবন্ধন নাই।শফিকুল ইসলাম দাঁতের সকল ধরণের অস্ত্র প্রচার করে।যার ফলে মানুষ প্রতারণার ও অপচিকিৎসা শিকার হচ্ছে। একজন টেকনিশিয়ানের কাজ হল একজন বিডিএস ডাক্তারকে সহযোগিতা করা।টেকনিশিয়ান চিকিৎসা দেওয়ার কোন নিয়ম নাই।

সে তার ডিক্রি গুলোতে চালাকি করে ভুয়া তথ্য প্রদান করেছেন।তার প্যাডে ব্যবহারিত ডিক্রি গুলোতে বিএসসি ডেন্টাল নামে কোন ডিক্রি নাই ।আছে বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টাল নামে ডিগ্রি। এখানে সে টেকনোলজি শব্দটি গোপন করেছে।এমপিএইচ ডিক্রি এখন অর্জন করে নাই বলে তথ্য পাওয়া গেছে।আর এফটি কোন ডিক্রি নই।

শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করার পর চেম্বার দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসতেছে।শফিকুল বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টাল পাশ করেছে ২০২২ সালে।কিন্তু তার প্যাডে ব্যবহার করতেছে ২০১০ সাল থেকে।তার বিভিন্ন প্রচারণায় ডাক্তার পদবী ও ব্যবহার করে।শফিকুল ইসলাম ডাক্তার না হলেও ডাক্তারের এপ্রোন পরিধান করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দেখা গেছে।সেই নিজেকে পাশ করা বড় ডাক্তার বলে দাবী করে।কয়েকদিন আগে প্রশাসনের ভ্র্যামমান অভিযানেও ধরা ছোঁয়ার বাহির রয়ে গেছে শফিকুল ইসলাম।তার স্ত্রী নাম জামিলা সিদ্দিকা মরজান।

জামিলা সিদ্দিকা মরজান মহিলা চিকিৎসক হয়ে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।তিনিও তার স্বামীর মত একই ডিগ্রি ব্যবহার করেছেন প্যাড সহ বিভিন্ন ব্যানার পোস্টারের প্রচারণায়।গত কয়েক দিন আগে একজন বিডিএস ডাক্তার চেম্বারে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নাম হল ডাক্তার নজরুল ইসলাম।তার প্যাডে ব্যবহারিত বিএমডিসি নাম্বার হল ১২৪২১।
উক্ত নাম্বার বিএমডিসির ওয়েবসাইটে চেক করা হলে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।শফিকুল ইসলামের ব্যাপারে নুর হাসপাতালের মালিক মুজিবুর রহমানের সাথে কয়েক বার যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেন এবং সবশেষে বলেন শফিকুল ইসলামের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি না থাকায় ওনি বর্তমানে বিডিএস ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”শফিকুল ইসলাম কোন সনদধারী ডাক্তার নয় বলেন স্বীকার করেন”
।সচেতন মহলের দাবী,স্বাস্থ্য ব্যবস্হার এমন অবস্হা হলে সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসা ও প্রতারণার শিকার হবে ও বর্তমানে হচ্ছে ।এসব প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে চাই ও এসব অপরাধ বন্ধের জোর দাবী জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  

আমাদের ফেসবুক পেজ

• © Copyright 2022, All Rights Reserved | World News 24 BD • বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই সংস্থা্র ওয়েব সাইটে প্রকাশিত যে কোন সংবাদ (World News 24 BD) এর যথাযথ তথ্যসূত্র (রেফারেন্স) উল্লেখ পূর্বক যে কেউ ব্যবহার বা প্রকাশ করতে পারবেন।
Developed by: Themes Seller
Tuhin