রাজবাড়ী শহরের ১নং বেড়াডাঙ্গার কেকে এস অফিসের সামনের একটি বাড়ি থেকে নারীসহকমীর্সহ আইনজীবীকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ২সন্তানের জনক ও তার সহযোগী শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবী এক সন্তানের জননী।
তাদের উভয়ের আলাদা আলাদা সংসার রয়েছে। তবে তারা বিয়ে করেছেন বলে দাবি করে কোর্টের নোটারী পাবলিক করার কিছু কাগজ পত্র দেখান।
এবিষয়ে একজন আইনজীবী বলেন, ১৯৬১ সালের মুসলিম ও পারিবারিক আইন অনুযায়ি বৈধ বিবাহের অবশ্যই কাবিননামা থাকিতে হবে। কাবিননামা ছাড়া বিবাহের বৈধ কোন কাগজ নেই।
হিন্দু আইনেও বর্তমানে রেজিঃ চালু করা হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে যে হলফ নামা তৈরী করা হয় উহা বিবাহের কোন বৈধ কাগজ নহে। উক্ত কাগজ শুধু মাত্র একটি হলফনামা। যাহাতে দুজনের সম্মত্তি সুচক ঘোষনা মাত্র। উক্ত হলফনামার আইনগত ভিত্তি নেই। সেকারনে বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে অবশ্যই কাবিননামা থাকিতে হবে। এছাড়া একটি নারী কখনই এক সাথে দুই স্বামী রাখতে পারেন না।
আগে স্বামী থাকিলে তাহাকে তালাক না দেয়া পযন্ত ২য় কাউকে স্বামী হিসাবে গ্রহন করতে পারে না। তারা দন্ডবিধির ২৯০ ধারায় অপরাধ করেছে। একজন আইনের রক্ষক হয়ে নিজেই ভক্ষক। উনি এই ঘৃণিত ঘটনা ঘটিয়ে শুধু সমাজকেই নয় আইনজীবী মহলকেও তিনি কলঙ্কৃত করেছেন, এমনটি জানালেন স্থানীয় রাজবাড়ীর সচেতন মহল ও আইনজীবীগণ।
স্থানীয়দের দাবি নারায়ণ চন্দ্র দত্তকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। এ অপরাধীর বিচার না হলে আইনের প্রতি মানুসের শ্রদ্ধা কমে আসবে এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় আইনজীবীরা। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী কোতয়ালী থানা পুলিশের সাথে কথা হলে উল্লেখিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।