ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ বিডি ডেক্স: নাটোরের বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর স্যাপার কলেজের এক শিক্ষার্থীকে দলগতধর্ষণের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ১০ বছর করে আটক আদেশ দিয়ে সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে নাটোর শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
আটককৃতরা হচ্ছে, লালপুর উপজেলার দাংগাপাড়া এলাকার মহরম আলীর ছেলে তুষার আলী (১৮), বাগাতিপাড়া উপজেলার শ্রীবতীপাড়া এলাকার ওবাইদুর রহমানের ছেলে ইমন হোসেন, লালপুরের পুকুরপাড়া এলাকার আন্তাজ আলীর মেয়ে মেঘলা খাতুন এবং নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্বমাধনগর এলাকার সালামের ছেলে তুষার আলী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর স্যাপার কলেজের শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো একই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুষার আলী। কিন্তু মেয়েটি তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয় না।
পরে কলেজ ছুটির পর ২০১৭ সালের ১২ জুলাই পানির সাথে চেতনানাশক খাইয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ৪শিক্ষার্থী। এসময় সিএসনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে দলগতধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তারা।
পরে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তারা। দিন দিন ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
পরে চিকিৎসা শেষে ঘটনার বিস্তারিত পরিবারকে জানায় মেয়েটি। পরবর্তীতে মেয়েটির মা বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৪ শিক্ষার্থীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়ে যশোর সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪ বিডি ডেক্স