ফরিদপুর জেলার চর ভদ্রাশন উপজেলার চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন কে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় উপজেলার চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। সে হাজিগঞ্জ বাজারের পাশে বেপারী ডাঙ্গী গ্রামের প্রবাসী মোশারফ হোসেনের ছেলে।
শিক্ষার্থীর মা কোহিনুর আক্তার জানান, জুবায়ের প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার স্কুলে গেলে টিফিনের সময় সহপাঠীদের সাথে খেলা করার সময় এক ছাত্রী অসাবধানতার কারণে সামান্য ব্যথা পায় ছাত্রীও বুঝতে পেরে কিছু মনে করেনি। কিন্তু শিক্ষিকা ফিরোজা ম্যাডাম পূর্বের শত্রুতা বসত আমার ছেলে জুবায়ের কে পিটিয়ে আহত করেছে। নির্যাতনের কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছে তার পিটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। পরে অন্য ছাত্ররা আমাকে ফোন দিলে আমি হাজীগঞ্জ বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসি।
আহত ছাত্র জোবায়ের হোসেন বলেন, স্কুলের টিফিনের সময় আমার সহপাঠীদের সাথে খেলা করার সময় ভুলবশত এক ছাত্রীর সামান্য আঘাত লাগে। এই অপরাধে ফিরোজা ম্যাডাম আমাকে কম্পিউটার ল্যাব রুমে নিয়ে প্রথমে বকা দিয়ে জুতা উঁচা করে পরে বেত দিয়ে এলো পাথারি পিটিয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফিরোজা ম্যাডাম বলেন, ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী মনে হলে দুটি বেত্রাঘাত করে জুবায়েরকে দিয়ে ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়াইয়া মীমাংসা করে দেই।
তবে উক্ত বিষয়ে তদন্ত করে দেখা যায় শিক্ষক ফিরোজা ম্যাডাম তার ব্যাক্তিগত আক্রোশের জন্য অতি সামান্যতম বিষয় নিয়ে জোবায়ের হোসেনের উপর অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছে, যার পরিপেক্ষিতে জোবায়ের হোসেন মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নিজামুদ্দিন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি পরে শুনেছি কিন্তু আমার একটু সময়ের অভাবে বিষয়টি নিয়ে বসতে পারিনি। অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চরভদ্রাসন থানার ওসি মিন্টু মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে শিক্ষকের এমন অমানবিক আচরণ দেখে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অবিভাবকের মধ্যে তাদের সন্তানদের পাঠদান নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, কেননা ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে যদি শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয় তাহলে তারা কিভাবে শিক্ষকদের উপর ভরষা রাখবে, তাই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং সকল সদস্যদের প্রতি অবিভাবকগন ঐ শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।