ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হাসি-খুশি, সর্বদাই প্রাণবন্ত, অসম্ভব ভদ্র একটি মেয়ে শতাব্দী দত্ত। তার বাবা স্কুল শিক্ষক। সেও ভালো ছাত্রী । এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সে খায়রুল্লাহ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরিক্ষাথী ছিল। প্রত্যাশা ছিল জিপিএ-৫ পাবে।
এসএসসি পরীক্ষা দিয়েই এইচএসসির পড়াশোনা শুরু করে দেয়। রাস্তায় দেখা হলে বলতো আংকেল দোয়া করবেন। পড়াশোনার খবর জিঙ্গাসা করলে বলতো ইংরেজি ও সায়েন্সের চারটি বিষয়ে প্রাইভেট পড়া শুরু করে দিয়েছি। আজ এসএসসি রেজাল্ট হলো । সে জিপিএ-৪.৮৭ পেলো ।
হয়ত কোন একটি বিষয়ে পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। কিংবা পরীক্ষা অনুযায়ি রেজাল্ট হয়নি। জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রত্যাশার চাপ সে হয়তো সামলে উঠতে পারেনি। আত্মহননের পথ সে বেছে নেয়।
স্কুল ছাত্রী শতাব্দীকে শিখানো হয়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ভালো, সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া আরও ভালো। কিন্তু ফল ভালো না হলে জিপিএ-৫ না পেলে যে সব খারাপ হয়ে যায় তা কিন্তু নয়। মোটেও নয়।
এ জন্য ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজের দরজা যে বন্ধ হয়ে যায়, ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায়, মোটেও তা নয়।