কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার আগেই ঝরে পড়েছে ৬ জেলার ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২৫ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থী। করোনা মহামারির প্রভাবে বাল্যবিয়ে এবং উপার্জনমুখী হওয়া মূল কারণ হিসেবে দেখছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেণী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল দুই লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন। ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় বসেছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন শিক্ষার্থী। এসএসসির আগেই ঝরে গেছে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুতেই শিক্ষার্থীদের এই ঝরে পড়ার হার প্রান্তিক এলাকায় তুলনামূলক বেশি। কুমিল্লা বোর্ডে মেয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১৯.৭ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১২.৪ শতাংশ।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি এবং করোনা মহামারির কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে ছেলেরা অল্প বয়সে উপার্জনমুখী হওয়ায় ঝরে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
নির্বাচনী পরীক্ষা না থাকার পরও এসএসসির আগে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
তবে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুস ছালাম জানালেন, বোর্ডে ঝরে পড়ার হার বাড়লেও পাশাপাশি মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমানো সম্ভব হবে।